রামুতে মাদক ব্যবসায়ির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাতটায় রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী অছিয়র রহমানের স্ত্রী মোহছেনা বেগম (৪০), মেয়ে রামু কলেজের ছাত্রী হাবিবা আকতার (১৮), আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আকতার (১৫) ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আসমিত আরা (১২)।
আহত মোহছেনা বেগমের পিতা ফজল কবির জানান, ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি মনজুর আলম দীর্ঘদিন তার জামাতার অনুপস্থিতির সুযোগে বসত ভিটে দখল করে পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি নতুন টিনের বেড়া দিয়ে জামাতা অছিয়র রহমানের বসত ভিটে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে মনজুর আলম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল জানিয়েছেন, সীমানা বিরোধের বিষয়টি মোহছেনা বেগম রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমানকে সম্প্রতি অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের মেম্বার ও চৌকিদার গত রবিবার গিয়ে উভয়কে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে এবং কয়েকদিনের মধ্যে চেয়ারম্যান বিরোধ নিরসন করবেন, এমন আশ্বাস দিয়ে আসেন।
আহত মোহছেনা বেগমের ভাই শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেয়ায় মনজুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে সোমবার সকালে মোহছেনা বেগমের বসত ভিটে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে মনজুর আলমের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী শাকিল বড়–য়া, ছোটন বড়–য়া, চুইঙ্গা বড়–য়ারসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়িটিতে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। হামলাকারিরা মোহছেনা বেগমকে মাথায় দা দিয়ে কোপ দিলে সে মাটিতে পড়ে যান। পরে মাকে বাঁচাতে আসা তাঁর তিন মেয়ে হাবিবা, সাদিয়া ও আসমিত আরাকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এঘটনার পর হামলাকারিরা সটকে পড়ে। প্রতিবেশী লোকজন আহত মোহছেনা ও তার তিন মেয়েকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনারপর থেকে পলাতক থাকায় মনজুর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে হামলার পর সকাল দশটায় রামু থানার এসআই আবুল খায়ের ও এসআই মুকিবুল ঘটনাস্থলে যান। এসআই আবুল খায়ের জানান, মাদক ব্যবসায়ি মনজুরের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: